ইয়াবা দূরে থাক, কোনো দিন বিড়ি সিগারেট না খেলেও মাদকের মামলায় কারাগারে ময়মনসিংহের রাসেল। গাজীপুর আদালতের পাঠানো ওয়ারেন্টে তাকে গ্রেপ্তার করে ময়মনসিংহের কোতোয়ালী থানা পুলিশ। খতিয়ে দেখা যায়, যে আদালতের নামে ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হয়েছে, ওই নামে কোনো আদালত নেই গাজীপুরে। পুলিশের দাবি, ওয়ারেন্ট ভুয়া কিনা তা যাচাইয়ের দায়িত্ব তাদের নয়। এ অবস্থায় দোষীদের শাস্তি চান ভুক্তভোগীর পরিবার।
গাজীপুরের শ্রীপুর থানায় ২০১৯ সালে ইয়াবা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় ৪ মাস জেল খাটেন অটোচালক হাছেন আলী। এরইমধ্যে তাকে আসামি করে চার্জশিটও দিয়েছে পুলিশ। তবে আসামি হাছেন আলীর দাবি, তাকে অন্যায়ভাবে ফাঁসানো হয়েছে।
ওই মামলায় রাসেল মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে সাজাপ্রাপ্ত আসামি উল্লেখ করে একটি ওয়ারেন্ট যায় ময়মনসিংহের কতোয়ালী থানায়। এর জের ধরে চুরখাই বাজার থেকে রাসেল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জামিনের জন্য আদালত থেকে নথি তুলে দেখা যায়, মামলায় রাসেল নামে কোনো আসামি নেই। এমন কী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি জানান, ওয়ারেন্ট ইস্যু হওয়া আদালতেরও অস্তিত্ব নেই গাজীপুরে।
এ নিয়ে জানতে চাইলে শ্রীপুর থানা পুলিশ বলছে, এ মামলায় হাছেন আলীকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে, অন্যকারো আসামি হওয়ার প্রশ্নই আসেনা। আর কতোয়ালী থানার দাবি, ওয়ারেন্ট ভুয়া কিনা সেটা যাচাইয়ের দায়িত্ব তাদের নয়।
ভুয়া ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে বন্ধ রাসেলের দোকান। আয় রোজগার না থাকায় বিপাকের তার পরিবার। দ্রুত জামিন ও ক্ষতিপূরণের দাবি মানবাধিকার কর্মীদের।
Leave a Reply