মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ও সেনা প্রধান জিয়াউর রহমানকে দেয়া ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পর রাষ্ট্রীয় এই খেতাবটি বাতিলের সিদ্ধান্ত হলো।
এই সিদ্ধান্তের ভিত্তি হিসেবে জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘন, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের দেশত্যাগে সহায়তা এবং তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়নের অভিযোগ তোলা হয়েছে। এছাড়া, জামুকা’র ৭২তম সভায় বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি শরিফুল হক ডালিম, নূর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিনের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলে সুপারিশ করা হয়। এই সিদ্ধান্তের ফলে রাষ্ট্রীয় কোন সুযোগ সুবিধা পাবেন না এই পাঁচজন ও তাঁদের পরিবার।
বঙ্গবন্ধুর হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হওয়া আত্মস্বীকৃত চার খুনির খেতাব বাতিলের বিষয়টি মঙ্গলবার জামুকার ৭২তম সভায় উত্থাপন করা হলে জামুকার সদস্য এমপি শাজাহান খান প্রশ্ন তোলেন, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের খেতাব বাতিল করা হলে কেন জিয়াউর রহমানের ক্ষেত্রে একই পদক্ষেপ নেয়া হবে না। ওই বৈঠকে দাবির পক্ষে নানা যুক্তিও তুলে ধরেন তিনি। পরে জামুকা সভার সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীসহ অন্যরা এ দাবির সাথে একমত পোষণ করেন।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার ঘটনায় তাকে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে অভিযুক্ত করে আসছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।
Leave a Reply