চীন থেকে পণ্য আমদানিতে সেদেশের মুদ্রায় ঋণপত্র বা এলসি খোলার সিদ্ধান্ত মানছে না বেশিরভাগ ব্যাংক। হাতেগোনা কয়েকটি ব্যাংক চীনা মুদ্রায় সরাসরি এলসি খোলা শুরু করলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা লঙ্ঘন করছে নামী-দামি ব্যাংকগুলো।
চীন থেকে পণ্য আমদানিতে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পরই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বড় ক্রেতা বাংলাদেশ। বিশ্বজড়ে করোনার প্রভাব শুরুর ঠিক আগের অর্থবছরে চীন এবং বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্পর্ক ছিল সাড়ে ১৪ বিলিয়ন তথা এক হাজার চারশ ৪৮ কোটি ডলারের। আর তাই চীনের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে মার্কিন ডলার বা তৃতীয় কোনো বৈদেশিক মুদ্রার ওপর নির্ভরশীল না হয়ে সরাসরি চীনা মুদ্রা ইউয়েন বা আরএমবিতে এলসি খোলার নির্দেশনা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু আড়াই বছরেও সেই নির্দেশনায় সাড়া দেয়নি না তেমন কোনো ব্যাংক।
চীন থেকে পণ্য আমদানিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা উপেক্ষা করায় মুদ্রা বিনিময়জনিত লোকসানে প্রতিবছর গচ্চা যাচ্ছে দেশের অন্তত: আড়াইহাজার কোটি টাকা। ব্যবসায়ীদের বাড়তি এ ব্যয়ের বোঝা খরচ বাড়াচ্ছে ভোক্তাদের। বিশ্বের প্রায় অর্ধশত দেশ চীনের মুদ্রায় সরাসরি এলসি খোলাসহ সার্বিক ব্যবসা-বাণিজ্য করলেও এদেশের ব্যাংকগুলোর আগ্রহ কম বলে অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা। এবিষয়ে সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন-এবিবির মহাসচিব মাসরুর আরেফিন জানিয়েছেন, আমদানির চেয়ে রপ্তানি নগণ্য হওয়ায় চীনা মুদ্রা আসছে না। সে কারণে জনপ্রিয় হচ্ছে না চীনা মুদ্রায় এলসি খোলার দাবি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, নীতিনির্ধারকরা জানিয়েছেন, চীনা মুদ্রায় লেনদেন সহজ করতে নেয়া উদ্যোগ আমলে না নিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ডলারের বদলে চীনা মুদ্রায় এলসি খোলার পদ্ধতি কার্যকরে দু’দেশের ব্যবসায়ীদের বোঝাপড়া জোরদারের পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
Leave a Reply