বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে টাকা তোলার অনুমোদন পাওয়া বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেডের বিডিংয়ের তারিখ পরিবর্তন হয়েছে।
প্রথমে এই কোম্পানিটি শেয়ারের কাট অফ প্রাইস নির্ধারণে ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টা থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিডিংয়ের সময় নির্ধারণ করেছিল। এখন এই বিডিংয়ের তারিখ পরিবর্তন করে ২২ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৫টা থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। সূত্র ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
এর আগে গত ৩১ ডিসেম্বর পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৫৫তম কমিশন সভায় বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ারকে বিডিংয়ের অনুমোদন দেয়া হয়।
কোম্পানিটির বিডিং অনুমোদনের সময় কমিশন থেকে দুটি শর্ত আরোপ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে কমিশন কর্তৃক সম্মতিপত্র ইস্যুর তারিখ থেকে আগামী পাঁচ বছর পর্যন্ত কোম্পানিটি বোনাস শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে মূলধন বাড়াতে পারবে না এবং সব সময় সাবসিডিয়ারি কোম্পানিতে ন্যূনতম ৫১ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হবে।
২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের আর্থিক বিবরণী অনুসারে, পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্মিলিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) ২৩ টাকা। একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্মিলিত আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা ৩৭ পয়সা।
বিগত ৫ বছরের আর্থিক বিবরণী অনুসারে, কর-পরবর্তী নিট মুনাফার ভারিত গড় হারে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ২২ পয়সা।
প্রতিষ্ঠানটি আইপিও মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ২২৫ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। এই টাকা থেকে ২১৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি সাবসিডিয়ারিতে ১৪৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ইক্যুইটি বিনিয়োগের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও প্রক্রিয়ার ব্যয় নির্বাহে খরচ করবে।
সাবসিডারি কোম্পানি দুটি হল কর্ণফুলী পাওয়ার লিমিটেড এবং বারাকা শিকলবাহা পাওয়ার লিমিটেড। সাবসিডিয়ারি দুটির ৫১ শতাংশ শেয়ারের মালিক বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার।
কর্ণফুলী পাওয়ার ১১০ মেগা-ওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ফার্নেস ওয়েল ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রতিষ্ঠান, যা ২০১৯ সালে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করে। বারাকা শিকলবাহা পাওয়ার বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে ২০১৯ সালের মে মাসে। এটি ১০৫ মেগা-ওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন এইচএফও ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র।
Leave a Reply