আবুল বাশার পলাশ, চিফ রিপোর্টারঃ
১৯৮৭ সালে জিলানী বহুমুখী উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিঃ ১২২ জন সদস্য নিয়ে গঠিত হয়। উক্ত সমিতির সদস্যদের জমাকৃত টাকায় শালিক চুড়া মৌজায় ১৫.৩৭৫ শতাংশ জায়গার উপর একটি ৫ তলা ভবন নির্মান করে। তৎকালিন সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারন সভার সিদ্ধান্তের আলোকে এবং জেলা সমবায় অফিসারের অনুমতি ক্রমে সকল সদস্যরা নিজ নিজ নামে দোকান ও ফ্ল্যাট রেজিষ্ট্রেশন করে নেন।
তারই ধারাবাহিকতায় নূর মোহাম্মদ বাবুল সদস্য নং-১৫ সর্ব প্রথম ৫টি ফ্ল্যাট ও ১টি দোকান সাব কাওলা দলিল মূলে প্রাপ্ত হন। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য সদস্যদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় ৮টি ফ্ল্যাট দলিল মূলে ক্রয় করেন। এর মধ্যে জিলানী সমিতি ২০১৪ সালে বিলুপ্ত হয়ে যায়।
এদিকে মো.ওসমান গনি যাহার সদস্য নং-১১৬,জিলানী সমিতির সভাপতি দাবি করে জেলা সমবায় অফিসে নূর মোহাম্মদ বাবুলের বিরুদ্ধে আত্মসাৎ এর অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে কোন যাচাই-বাছাই না করেই জেলা সমবায় সমিতির উপ-সহকারী বিভিন্ন সময় ৮টি ফ্ল্যাট ক্রয় করায় নূর মোহাম্মদ বাবুলকে ৫৫,৩৪,৪০০ টাকা জরিমানা ধার্য করেন,এবং ধার্যকৃত টাকা রশিদ এর মাধ্যমে জেলা সমবায় অফিসে জমা করার জন্য রায় নির্দেশ প্রদান করেন। নূর মোহাম্মদ বাবুল উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন। এরই মধ্যে হঠাৎ একদিন ওসমান গনি ভাড়াটিয়া গুন্ডা বাহিনী দিয়ে গত ০৪/০৬/২০১৮ তারিখ রোজ সোমবার সকাল ১০ ঘটিকার সময়,দোকান থেকে বাবুলকে জোরপূর্বক বাহির করিয়া প্রাইভেট কারে উঠিয়ে অল্টারনেটিভ ফুয়েল সিষ্টেমস লিঃ( সিএনজি পাম্প এ) নিয়ে বেধরক মারপিট করে,ও ইসলামি ব্যাংক লিঃ এর হিসাব নং-১০৪০ তারিখ বিহীন ৫০,০০,০০০ লক্ষ টাকার চেক যাহার নং-৪৪৪৬৮৬৪,এবং হিসাব নং-৩৫৯ এর তারিখ বিহীন ২,০০,০০০ লক্ষ টাকার চেক যাহার নং-০১১১৩৬৩,নিয়ে জোর পূর্বক সাক্ষর রেখে ছেড়ে দেয়।
পঞ্চাশ লক্ষ টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে ওসমান গনি বলেন বাবুল এই টাকা আমার কাছ থেকে হাওলাত নিয়েছিলো দিচ্ছে না তাই চেক নিয়েছি।এ বিষয়ে নূর মোহাম্মদ বাবুল বলেন ওসমান গনির সাথে আমার কখনই ব্যবসায়িক কোন লেনদেন ছিলো না তার কাছ থেকে কখনই আমি টাকা হাওলাত করিনি,বরং ওসমান গনি আইন অমান্য করেছ। জানা যায় নিজের অন্যায়কে আড়াল করার জন্য উল্টো বাবুলের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।কে এই ওসমান গনি, স্রী হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদ- প্রাপ্ত আসামী,আইনের ফাক ফোকরে এখন জামিনে মুক্ত,একাদিক চাঁদাবাজি ও জালিয়াতি মামলার আসামি। বেপরোয়া চলাফেরা,দখলবাজি তার পেশা।
বর্তমানে ভুক্তভোগী বাবুল যে ফ্ল্যাটটি তে বসবাস করছেন এই ফ্ল্যাটটিও ওসমান গনি জোর পূর্বক দখল করে রেখেছিলো,এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে উক্ত ফ্ল্যাট উদ্ধার করতে সক্ষম হয়,কিন্তু রেহায় পাননি একাধিক মিথ্যা মামলা থেকে। দুই পক্ষকে নিয়ে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা একাধিকবার আপোষ মিমাংসা করতে গিয়েও কোন এক অদৃশ্য শক্তির কাছে ব্যর্থ হয়েছেন।মিথ্যা মামলায় জর্জরিত বাবুলের পরিবার আজ দিশে হারা। তাই নূর মোহাম্মদ বাবুল আদালতের বিচারক মন্ডলি ও সরকারের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে মিথ্যা মামলা থেকে তাকে যেন দ্রুত অব্যাহতি দেওয়া হয়।