প্রথম দেখাতেই কোটিপতি বামনের প্রেমে হাবুডুবু খান রুশ সুন্দরী!

বিনোদন ডেস্ক:

‘প্রেমের খেলা কে বুঝিতে পারে, ও বাতাসি। প্রেমের খেলা কে বুঝিতে পারে’… গানটা মনে পড়ছে? ‘সুরের আকাশে’ ছায়াছবির সেই গান আজও জীবন্ত। প্রেমে পড়লে কী না হয়! প্রেম এমন এক স্বর্গীয় অনুভূতি যা কোনো বাধা মানে না। সব কিছুর বিরুদ্ধে গিয়েও প্রেম অর্জনই তখন একমাত্র লক্ষ্য হয়ে ওঠে যুগলের।

এমনই এক নজির গড়েছেন রাশিয়ান তরুণী ইসাবেল এবং ভারতীয় ব্যবসায়ী জাহিদ আলি খান। ইসাবেলের দাবি, প্রথম দর্শনেই তিনি জাহিদের প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন। অনেক পথ পেরিয়ে অবশেষে জাহিদকে পেয়েছেন তিনি। কত বাধা, কত বিপত্তি কাটিয়ে শেষমেশ জাহিদের হৃদয়ে নিজের ঘর তৈরি করেছেন তিনি। একেই তো বলে ভালোবাসা।

কবির ভাষায় ‘নিকষিত হেম’। কিন্তু সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে বেশ চলছে আলোচনা-সমালোচনা। নেট দুনিয়া ইসাবেলের বক্তব্য বিশ্বাস করতে নারাজ। প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। কেউ বলছেন, নেপথ্যে জাহিদের ৭৪০ মিলিয়ন ডলার। আবার কেউ দৃষ্টান্ত দেখিয়ে মহৎ প্রেমের তকমা দিচ্ছেন তাদের এই সম্পর্কের কেমিস্ট্রিকে।

এই যুগলের প্রেমকাহিনি বেশ কয়েক বছরের পুরনো। তবুও এটি আবারও ভাইরাল হয়েছে। রুশ সুন্দরী ইসাবেল জানিয়েছেন, তিনি জাহিদ আলি খানকে প্রথম দেখাতেই ভালোবেসে ফেলেন। জাহিদের চরিত্রে আকৃষ্ট হয়েই তিনি তার সঙ্গে জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আর সেজন্যই নিজের দেশ ছেড়ে পাড়ি দেন ভারতে। জাহিদ দৈহিক উচ্চতায় বামন হলেও, ইসাবেলের কাছে তা কোনও বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। তার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল একে অপরের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শন। তাদের দুজনের মধ্যে দৈহিক গঠন কিংবা ভাষা, সংস্কৃতি, ধর্ম কোনও ব্যাপারেই মিল নেই। তবুও ওদের মনের মিল দুজনকে এক বিন্দুতে মিলিয়ে দিয়েছে। এরই নাম ‘ভালোবাসা’। রূপকথার গল্পকেও যেন হার মানায় তাদের এই প্রেম!। সাত সমুদ্দুর তেরো নদী পেরিয়ে এসে রাজকন্যা ইসাবেল যেন তার স্বপ্নের রাজপুত্রকে খুঁজে পেয়েছেন অবশেষে।

যদিও নেটপাড়ায় বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিতর্ক তৈরি হতে দেখা গেছে। কেউ মনে করেন জাহিদের বিপুল সম্পত্তির কারণেই ইসাবেল তার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছেন। জাহিদ উত্তরাধিকার সূত্রে ৭৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সম্পত্তির মালিক। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৬ হাজার ২৫৫ কোটি ২২ লাখ টাকা। টাকার অঙ্ক সংখ্যা দেখে সবার চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। এই পরিমাণ টাকা যার কাছে রয়েছে, তার সান্নিধ্য পেতে কেউ কেউ যে প্রেমের খেলা খেলতেই পারেন, তা কি সত্যি নয়? প্রশ্ন উঠছে অনেক। যদিও এর প্রকৃত উত্তর কারও কাছে নেই। তবে, দেখার বিষয় যে এই প্রেমের খেলা কতদূর এগোয়? চাঁদের গায়ে যতই কলঙ্ক ছেটানো হোক না কেন, জ্যোৎস্নার আলোয় পৃথিবী বারেবারে ডুবে যায়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button